প্রশ্নঃ ডিজিটাল সিগন্যাল বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ডিজিটাল সিগন্যাল বলতে বুঝায় যে সংকেত বা প্রতীক এর মাত্র দুটি নির্ধারিত স্তর থাকে।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স কাকে বলে?
অথবা, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ যে সংকেত বা প্রতীক এর মাত্র দুটি নির্ধারিত স্তর থাকে কোন অজানা অবস্থা থাকে না এবং যার স্তর দুটি সময়ের সাথে সাথে ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয় এবং ধাপসমূহ এর মান নির্দিষ্ট থাকে তাকে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বলে।
প্রশ্নঃ লজিক লেভেল কাকে বলে?
অথবা, ডিজিটাল সিগন্যাল এর লজিক লেভেল বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ বাইনারি 1 এবং 0 নির্দেশ করার জন্য যে ভোল্টেজ ব্যবহার করা হয় তাকে লজিক লেভেল বলে
প্রশ্নঃ ডিজিটাল সিগন্যাল এর বৈশিষ্ট্য কি?
অথবা, ডিজিটাল সিগন্যাল এর প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ ডিজিটাল সিগন্যাল এর বৈশিষ্ট্যঃ এই সিগন্যালের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থার পরিবর্তন হঠাৎ করে হয়। লো এবং হাই লেভেলের মান নির্দিষ্ট থাকে।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ডিজিট শব্দ থেকে ডিজিটাল শব্দের উৎপত্তি। ডিজিট অর্থ সংখ্যা আর ডিজিটাল সংখ্যা বলতে সাধারণত 0 এবং 1 বুঝায়।
প্রশ্নঃ সিগনালের রাইজ টাইম এবং ফল টাইম বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ সিগনালের রাইজিং টাইম বা রাইজ টাইমঃ কোন ডিজিটাল সিগন্যাল বা পালসের লো লেভেল থেকে হাই লেভেলে পৌঁছাতে যে সময় লাগে তাকে রাইজিং টাইম বা রাইজ টাইম বলে।
ফলিং টাইম বা ফল টাইমঃ কোন পালস ওয়েভের হাই স্টেট (১) থেকে লো স্টেট (০) এ পৌঁছাতে যে সময় লাগে তাকে ফল টাইম বলে। একে tf দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্নঃ বর্তমানে ব্যবহৃত কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইস এর নাম লেখ।
- ডিজিটাল ওয়াচ,
- ডিজিটাল রেডিও
- ডিজিটাল কম্পিউটার
- ডিজিটাল মনিটর
- ডিজিটাল থার্মোমিটার
- ডিজিটাল টেলিভিশন
- মোবাইল
- ক্যালকুলেটর
প্রশ্নঃ ডিজিটাল সংকেত বলতে কি বুঝায়?
অথবা, ডিজিটাল সিগনাল কি?
অথবা, ডিজিটাল সিগন্যাল কাকে বলে?
অথবা, ডিজিটাল সিগন্যাল বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ যে সংকেত এর মান সময়ের সাপেক্ষে ধাপে ধাপে পরিবর্তন হয় তাকে ডিজিটাল সংকেত বলা হয়। অনেক সময় একে discrete-time সংকেত বলা হয়ে থাকে। ডিজিটাল সংকেত এর যেকোনো মুহূর্তের মান একটি নির্দিষ্ট ধাপে অবস্থান করে।এডার, সাবট্রাক্টর, মাল্টিপ্লেক্সার, রেজিস্টার ইত্যাদি সার্কিটের মাধ্যমে ডিজিটাল সংকেত কে প্রতিক্রিয়া করা হয়।
প্রশ্নঃ এনালগ ও ডিজিটাল সংকেত এর মধ্যে মূল পার্থক্য কি কি?
অথবা, এনালগ ও ডিজিটাল সিগনালের মাঝে পার্থক্য লেখ।
এনালগ সিগনালঃ
- এনালগ টেকনোলজিতে তত্ত্ব বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ইলেকট্রিক পালসে পরিণত হয়।
- সাইন ওয়েভ দিয়ে এনালগ সিগনাল প্রকাশ করা হয়।
- এনালগ সিগনাল কন্টিনিউয়াস
- উদাহরণঃ বাতাসে আমাদের মুখ নিঃসৃত শব্দ, এনালগ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ইত্যাদি এনালগ সিগন্যাল ব্যবহার করে।
- নয়েজের কারণে এনালগ সিগনাল বড় ধরনের অ্যাকুরেসি হারায়।
- ব্যবহারঃ অডিও-ভিডিও ট্রান্সমিশনের জন্য এনালগ সিগনাল বেস্ট।
ডিজিটাল সিগন্যালঃ
- ডিজিটাল টেকনোলজিতে তত্ত্ব বাইনারি ফরমেটে থাকে।
- ডিজিটাল সিগন্যাল ডিসক্রিট।
- ডিজিটাল সিগন্যাল প্রকাশ করতে লাগে স্কয়ার ওয়েভ।
- কম্পিউটার সিডি ডিভিডি ইত্যাদি ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহার করে।
- ডিজিটাল সিগনালের একুরেসি বেশি হয়।
- কম্পিউটিং এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য ডিজিটাল সিগন্যাল বেস্ট।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহারের সুবিধা বর্ণনা করো।
অথবা, এনালগ ও ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহারের সুবিধা লেখ।
অথবা, অ্যানালগ সিস্টেম এর তুলনায় ডিজিটাল সিস্টেম এর সুবিধা গুলো কি কি?
উত্তরঃ
ডিজিটাল সিস্টেম এর সুবিধাঃ
- ডিজিটাল সিগনালের হিসাব সহজ হওয়ায় সহজে বর্তনীর নকশা প্রণয়ন করা যায়।
- ডিজিটাল সিস্টেম এর আউটপুট অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং মুক্ত।
- ডিজিটাল সিস্টেমে বর্তনীর নকশা প্রণয়নের জন্য বিভিন্ন লজিক ফ্যামিলি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ব্যবহার করা হয় যার ফলে বর্তনীর আকার ছোট এবং দামে সস্তা হয়।
- ডিজিটাল সিস্টেমের বর্তনীতে সিগন্যাল নয়েজ আক্রান্ত কম হয় এবং নয়েজ আক্রান্ত হলেও তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বীকৃত দুটি মান 1 এবং 0 থাকায় নয়েজ সনাক্তকরণ সহজ হয়।
- ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফ্লাশ মেমোরিতে বিপুল পরিমাণ ডাটা সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যাপক ব্যবহারের কারণগুলো লেখ।
অথবা, ডিজিটাল সিগনালের বিস্তৃত বহারের কারণ লেখ।
উত্তরঃ ডিজিটাল সিগন্যাল মাত্র দুটি বা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানে পরিবর্তিত হয় বলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। ফলাফল হিসেবে ডিজিটাল সিস্টেম এর প্রভাব মুক্ত থাকে। এনালগ সিগন্যাল এর তুলনায় ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যাপক ব্যবহারের কারণ গুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- ডিজিটাল সিগনালের একটি মান হতে অপমানে পরিবর্তিত হতে কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না তাই ডিজিটাল সিস্টেম অ্যানালগ সিস্টেম এর চেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন হয়।
- এনালগ সিগন্যাল এর তুলনায় ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং এবং মেমোরিতে সংরক্ষণ সহজ এবং ত্রুটিমুক্ত। আমাদের পেনড্রাইভ মেমোরি কার্ড ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাটা প্রসেসিং এবং মেমোরিতে সংরক্ষণ করে থাকলে বলে তা তার কোন পরিবর্তন হয় না। অন্যদিকে আগের দিনের অডিও ক্যাসেট এনালগ পদ্ধতিতে ভয়েস সিগন্যাল সংরক্ষণ করা হতো।
- ডিজিটাল সংকেত কানেকশন হয় না।
- প্রতি সেকেন্ডে অনেকবেশী সংকেত প্রেরণ করা যায়।
- ডিজিটাল সিস্টেম এর ডিজাইন সহজ এবং আকারে ছোট হয়। আর এজন্যই বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশের আকার দিনে দিনে ছোট করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল সিগনালের সংজ্ঞা।
উত্তরঃ
ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সঃ
ডিজিটাল শব্দের অর্থ যে সংকেত বা প্রতীক এর মাত্র দুটি নির্ধারিত স্তর থাকে, কোন আজানা অবস্থা থাকে না এবং যার স্তর দুটির সময়ের সাথে ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয় এবং ধাপসমূহ এর মান নির্দিষ্ট থাকে। ইলেকট্রনিক্স এর যে শাখায় ডিজিটাল সংখ্যা, সংক্ষেপ এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সার্কিট এর গঠন, কার্যপ্রণালী, ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা করা হয়, তাকে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বলা হয়। ডিজিটাল ঘড়ি, মাইক্রো কম্পিউটার, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতির উদাহরণ।
ডিজিটাল সিগন্যালঃ
যে সিগন্যালের দুটিমাত্র অবস্থা থাকে, যার একটিকে হাই স্টেট (Hight state) বা 1 বা ON এবং অন্যটি লো স্টেট (Low state) বা 0 বা OFF বলে এবং এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যেতে কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না তাকে ডিজিটাল সিগন্যাল বলে।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল সিগন্যাল এর বৈশিষ্ট্য গুলো কী কী?
উত্তরঃ ডিজিটাল সিগন্যাল এর বৈশিষ্ট্য গুলো হলোঃ
- এই সিগনাল এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় হঠাৎ পরিবর্তন হয়।
- এই সিগনাল স্তরে স্তরে step-by-step পরিবর্তন হয়
- এবং হাই লেভেলের মান নির্দিষ্ট থাকে
- মাত্র দুটি নির্ধারিত থাকে
- হাই এবং এ লেভেল এর মাঝে কোন মান বিদ্যমান নয়
- ডিজিটাল সিগন্যাল দ্বারা পরিচালিত সার্কিট ডিজিটাল সার্কিট এবং ডিভাইস সমূহকে ডিজিটাল ডিভাইস।
Leave a Comment